ডারউইনের বিবর্তনবাদ মিথ্যা প্রমাণ করল পশ্চিমা গবেষকরা
জাহাজে চাকুরীর সুবাদে দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়াবার
একটা সুযোগ হয়েছিল মি. ডারউইনের। তিনি সখের বশে পুরান দিনের হাড় হাড্ডি আর কিছু
মাথার খুলি সংগ্রহ করলেন। এই সংগ্রহের উপর নির্ভর করে বলে দিলেন বানর থেকে মানুষের
আগমন। অর্থাৎ বানর মানুষের পূর্বসূরী। এক শিয়াল ডাক দিলে সব শিয়ালের ডাক দেয়ার মত
পশ্চিমা বিজ্ঞানীরা এই ভুয়া বিবর্তনবাদ মেনে নিল। মুসলমানগণ শুরু থেকেই এই
বিবর্তনবাদের ভুয়া দাবীকে অস্বীকার করে আসছেন এবং এই বিবর্তনবাদ মিথ্যা বলে জোর
দাবী জানিয়েছিলেন। আসলে কুরআন শরীফ ও হাদীছ
শরীফ-এর বিরুদ্ধাচরণ করাই তাদের আসল উদ্দেশ্য। মিথ্যা যতই বাগাড়ম্বরে উচ্চারিত হোক
না কেন মিথ্যা চিরদিন মিথ্যাই থাকবে,
সত্যকে
মিথ্যা দ্বারা কোন দিন চাপিয়ে রাখা যায় না।
পবিত্র কুরআন মজিদে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন যে, আদি
পিতা হযরত আদম আলাইহিস্ সালামকে সুন্দর অবয়ব দিয়ে তৈরি করে তাঁর মধ্যে রূহ মুবারক
ফুঁকে দেন। সুতরাং যদি কোন মুসলমান বিবর্তনবাদে বিশ্বাস করে তবে সে ঈমানহারা হয়ে
কাফিরে পরিণত হবে। বিবর্তনবাদ কুরআন শরীফ-এর দৃষ্টিকোণে মিথ্যা, এখন
পশ্চিমা গবেষকরাও প্রমাণ করল বিবর্তনবাদ মিথ্যা।
মিডলিকি নামের এক জীবাশ্মবিদ তার দীর্ঘ গবেষণায়
প্রমাণ করেছে এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতির উদ্ভব সম্ভব নয়। ২০০০ সালে হোমো
হ্যাবিলিস (মেরুদণ্ডের উপর সোজা দাঁড়াতে অক্ষম) প্রজাতির একটি চোয়াল এবং হোমে
ইরেকটাস (মেরুদণ্ডের উপর সোজা দাঁড়াতে সক্ষম) প্রজাতির একটি সম্পূর্ণ খুলির উপর এই
গবেষণা চালানো হয়। এই গবেষণায় এই তত্ত্ব বেরিয়ে আসে যে, হোমে
হ্যাবিলিস ও হোমে ইরেকটাস উভয় প্রজাতির বানর ১৫ লাখ বৎসর পূর্বে আফ্রিকায় একই সময়
বিচরণ করেছে এবং এদের আয়ু ছিল ৫ লাখ বৎসর। প্রাচীন এই প্রজাতি দু’টি একই সময় বসবাস করলেও একে
অন্যকে এড়িয়ে চলতো। কারণ হোমো হ্যাবিলিস ছিল নিরামিষাশী (তৃণভোজী) আর হোমে ইরিকটাস
ছিল গোশত ভোজী। তাহলে এটা প্রমাণিত হয় যে,
ডারউইনবাদে
বর্ণিত হোমো হ্যাবিলিস থেকে হোমো ইরিকটাসের প্রবর্তনের তত্ত্বটি ছিল ভুল। ডারউইনের
মতবাদে বলা হয়েছিল যে, হোমো হ্যাবিলিস থেকে হোমো ইরিকটাসের প্রবর্তন
হয় এবং হোমো ইরিকটাস থেকে হোমো স্যাপিয়ান্স (মানুষ) প্রবর্তিত হয়। এই গবেষণায় সে
মতবাদ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। কারণ হোমো হ্যাবিলিস (বানর) এবং হোমো ইরিকটাস
(সিমপ্যাঞ্জি) একই সময় পৃথিবীতে বিচরণ করে থাকলে কি করে একে অন্য থেকে প্রবর্তিত
হতে পারে।
কুরআন শরীফ বিজ্ঞানময় তাই কুরআন শরীফ থেকে নেয়া
বিজ্ঞানের সূত্র আজ পর্যন্ত কেউ ভুল প্রমাণ করতে পারেনি এবং পারবেও না। অথচ কুরআন
শরীফ-এর তথ্য ও তত্ত্বকে চ্যালেঞ্জ করে ইহুদী নাছারা ও বিধর্মীরা বহুবার
মিথ্যাবাদী প্রমাণিত হয়েছে। ডারউইনবাদেরও সেই অবস্থা। বিজ্ঞানীরা ভ্রুণ থেকে মানব
শিশুর মাতৃগর্ভে বিবর্তন সম্পর্কে মাত্র ১০০ বৎসর পূর্বে মুসলিম বিজ্ঞানীদের
সুবাদে জানতে পেরেছে। কিন্তু কুরআন শরীফে এ তথ্য ১৪০০ বৎসর পূর্বেই সুস্পষ্টভাবে
জানানো হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয়! কি করে যুক্তিবাদী মানুষ ডারউইনের যুক্তিহীন মতবাদ
মেনে নিল অথচ কুরআন শরীফ-এর শাশ্বত বাণী বুঝতে চেষ্টা করল না। সত্য চিরদিন সত্যই
থাকবে মিথ্যা কোনদিন সত্যকে চাপা দিতে পারবে না।
এসো হে মানুষ আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের
পথে। তাহলেই তোমরা নাজাত পাবে।
সংগৃহীত
সংগৃহীত
No comments